প্রতি বছর গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারান হৃদরোগজনিত সমস্যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভাস এবং জীবযাপন পদ্ধতি এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। এ কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যাভাস ও সুস্থ জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। অনেকের হয়তো জানা নেই, মাছের তেল হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে দারুণ কাজ করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা একাধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ইপিএ(আইকোসোপ্যান্টিওনিক অ্যাসিড) এবং ডিএইচএ(ডোকোসাহেক্সোনমিক অ্যাসিড) প্রভৃতি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
বিশুদ্ধ মাছের তেল থাকা‘পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’বা ‘পুফা’যা আকস্মিক হৃদরোগের সম্ভবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয় । এ ছাড়াও বুকে ব্যথা, স্ট্রোক ও ধমনীর অসুখের সম্ভাবনা কমাতেও অনেকটা সাহায্য করে ‘পুফা’।
মাছের তেল দেহে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ হ্রাস করে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ। নিয়মিত খুব অল্প পরিমাণে খেলেও পরিশুদ্ধ মাছের তেল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
শুধু হৎপিণ্ডেরসমস্যাই নয়, মাছের তেল চোখও ভালো রাখে। রেটিনা ভালো রাখতে ডিএইচএ-এর জুড়ি নেই। এছাড়াও অস্থি সন্ধি, চুল ও ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী মাছের তেল। বার্ধক্যের ছাপ মুছতেও কার্যকর হতে পারে মাছের তেল।