সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

বিদেশে পড়াশোনায় আর্থিক সহায়তা দিলে বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?

অনুসন্ধান ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

পৃথিবীর শতাধিক দেশ থেকে মানুষ কানাডায় অভিবাসন নিয়ে আসে। তার মধ্যে সংখ্যার হিসেবে আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এক নম্বরে। শুনে অবাক হবেন, ভারতের অন্তত চল্লিশটি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় ছাত্রদের বিদেশে পড়াশোনার জন্য ঋণ দেয়। এ কারণেই, ভারতীয় ছাত্রে আজ কানাডা-আমেরিকা সয়লাব।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্রেইন ড্রেইনের অজুহাতে গরিব অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা বিদেশে পড়ালেখা করতে চায় তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা না দিয়ে একপ্রকার দেশেই আটকে রেখেছে। ফলে, বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পড়তে যায় কেবল কোটিপতির সন্তানেরা; যত মেধাবীই হোন আর্থিকভাবে দুর্বলদের কাছে এ স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। কোটিপতির সন্তান কানাডা-আমেরিকা পড়তে গেলে দেশের কোনো মহলকে ব্রেইন ড্রেইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখি না, অজুহাতটা ফলাও করে তুলে ধরে হয় কেবল আর্থিকভাবে দুর্বলদের বেলায়। বিষয়টা হাস্যকর বটে!

 

মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে যথাযথভাবে বিকাশের সুযোগ না দিলে তারা তো বিদেশে যাবেই, এ সহজ সত্যটা আমরা বোঝার চেষ্টা করি না। যারা বিদেশে যেতেই চায় তাদের ঠেকিয়ে রেখে কি দিনশেষে কোনো লাভ হয়? তারপরও জোরজবরদস্তির দেশে আটকে রাখলে ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হোক, দেশের দুর্নীতির পরিবেশে তাল মেলাতে গিয়ে তাদের সিংহভাগই ঘুষখোর বা চোরের খাতায় নাম লেখায়। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, প্রকৌশল বা মেডিকেল শিক্ষার মতো টেকনিক্যাল ডিগ্রি অর্জন করে তরুণেরা প্রতিযোগিতায় নামে পুলিশ, প্রশাসন বা ট্যাক্স ক্যাডারে ঢোকার। এসব চাকরির বিশেষ আকর্ষণ কোথায় তা কমবেশি সবাই অবগত। তাই, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিষ্প্রয়োজন। অথচ, একটা দেশের টেকসই উন্নয়নে প্রথমেই দরকার কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, যা আমাদের দেশে একপ্রকার উপেক্ষিত।

গরিব অথচ মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমনে সহায়তা দিয়ে ভারত কিছু কি পেয়েছে? অবশ্যই পেয়েছে। আজ দেখুন, টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়াল , গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই , মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লা , অ্যাডোবের সিইও শান্তনু নারায়ণ (Shantanu Narayen), আইবিএমের সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণ ) এদের মতো অনেকেই ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক। শুধু কি তাই, আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর বিজ্ঞানীদের প্রতি চারজনে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এইসব গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় কারিগরি বিশ্বের নেতৃত্বে চলে আসার সুফল কি ভারতও ভোগ করছে না? ভারত তাদের নিজেদের ব্যবসা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রসারে কি এইসব প্রবাসী ভারতীয়দের জ্ঞান ও মেধা কাজে লাগাচ্ছে না?

একজন কানাডীয় ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট (আরসিআইসি), তথা কানাডীয় ইমিগ্রেশন কনসাল্টিং কোম্পানি, ‘এমএলজি ইমিগ্রেশন’এর পরিচালক হিসেবে পেশাগত কারণেই কানাডায় পড়াশোনা ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক হাল নাগাদ তথ্য আমাকে জানতে হয়। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কানাডা চার লক্ষ সতেরো হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর (ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট) আবেদন গ্রহণ করেছে যার ৪২ শতাংশই এসেছে কেবল ভারত থেকে। ভারত বিদেশে ছাত্র পাঠানোর বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকে তা এই একটি ডাটা থেকেই অনুমান করা যায়।

মানবসম্পদের এক দেশ হতে অন্যদেশে স্থানান্তরে অপেক্ষাকৃত গরিব দেশটির ক্ষতি হয় না তা নয়, তবে লাভও হতে পারে। কীভাবে? তা হতে পারে বিদেশে প্রশিক্ষিত জনবল যখন দেশে ফিরে আসেন, বা নিজের দেশে তাদের অর্জিত জ্ঞান-অভিজ্ঞতার প্রয়োগে উৎসাহবোধ করেন। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক দেবেশ কাপুরের মতে, সিলিকন ভ্যালিতে ভারতীয়রা ভারতের নিজস্ব উদ্যোগ-পুঁজি শিল্পের (ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইন্ডাস্ট্রি) কাঠামো তৈরি করেছে, পাশাপাশি ভারতীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোকে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছে; ভারত থেকে আমেরিকায় তথাকথিত ব্রেইন ড্রেইন ছাড়া যা সম্ভব হতো না।

 

অধিকন্তু, বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানি ভারতে তাদের কোম্পানির কার্যালয় খোলার জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুদক্ষ জনবলকে সেদেশে (ভারতে) পাঠাতে শুরু করেছে। অর্থাৎ, ভারত থেকে এক সময় বিদেশিরা যে দক্ষ জনবল আকৃষ্ট করে তাদের দেশে নিয়ে গেছে পরবর্তীতে তার চাইতে আরও অধিক দক্ষ জনবল বর্তমানে তারা ভারতে পাঠাচ্ছে। এতে দুই দেশেরই পারস্পরিক অর্জন হচ্ছে। কারণ, বিদেশি কোম্পানি ভারতে দক্ষতার সাথে অপারেট করতে হলে কোম্পানির স্থানীয় (ভারতীয়) নেতৃত্বই অধিক ফলপ্রসূ হয়। তাই, ব্রেইন ড্রেইন প্রাথমিকভাবে ক্ষতিকর মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটাকে দেশের উন্নয়নেও ব্যবহার করা যায়। এ কারণেই মেধা প্রবাহের এ প্রক্রিয়াটিকে ব্রেইন ড্রেইন না বলে বরং ব্রেইন সার্কুলেশন বা মেধা সঞ্চালন বলাই যুক্তিযুক্ত।

বিদেশে প্রশিক্ষিত কোনো ব্যক্তি তার নিজ দেশে ফিরে আসবেন না বা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না যদি না তারা নিজ দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ পান। নিজেদের দেশের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে তাদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার চর্চা বা বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি করতে হবে। কিন্তু, আমাদের দেশে সচরাচর হয় এর বিপরীত। দেশের লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে অনেক আগ্রহী বিনিয়োগকারীও শেষপর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে নেন বা বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোকবলকে তাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়। বেশি দূরে যাব না, নিজেরই একটা ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা পাঠকের সাথে শেয়ার করি। প্রায় দুই যুগ আগে দেশের একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে নেদারল্যান্ড সরকারের বৃত্তি নিয়ে সে দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ আমি পেয়েছিলাম। লেখাপড়ায় ভালো করায় নেদারল্যান্ডের সে বিশ্ববিদ্যালয় আরও তিন বছরের এক্সটেনশন দিয়ে আমাকে অধিকতর পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়। ‘এম এল গনির মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলীকে এ মুহূর্তে দীর্ঘমেয়াদে ছাড়া যাবে না’ মর্মে চিঠির উত্তর দিয়ে নিয়োগকর্তা আমার নেদারল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার সে সুযোগটি নষ্ট করে দেয়। অথচ, এ খাতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো অর্থই খরচ হতো না। তখন আমি কেবল সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করি। এন্ট্রি লেভেলের এ পদটি কতইবা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে পাঠক তা বিবেচনা করে দেখুন। কিন্তু, আমাকে কি শেষতক তারা ধরে রাখতে পেরেছেন?

বিদেশগামী প্রশিক্ষিত জনবলকে দেশে জোর করে ফিরিয়ে আনা যাবে না বা সেভাবে আনলেও কোনো সুফল পাওয়া যাবে না; বরং, তাদের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে তারা নিজেরাই দেশে ফেরার বা দেশের জন্য কিছু করার তাগাদা অনুভব করেন। সেটি হতে পারে সঠিক মেধা-পরিকল্পনার (ট্যালেন্ট প্ল্যানিং) মাধ্যমে। সরকারের আর্থিক বা সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা যেমন থাকে, একইভাবে মেধা পরিকল্পনাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম অথচ আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী ব্যক্তিদের বিদেশ গমনে অসহযোগিতা, ব্যক্তি বা জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রকার সুফল বয়ে আনবে না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বরং বেশি।

আগেই বলেছি, বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে উৎসাহ হারিয়ে কীভাবে পুলিশ, প্রশাসন বা ট্যাক্স ক্যাডারে চাকরি পাওয়া যায় সে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এটা দেশের জন্য একটা অশনি সংকেত। কারণ, এ ধারা চলতে থাকলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশ পেছাতেই থাকবে। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থাই নতুন প্রজন্মকে এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে। তারা দেখছে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভাব, ক্ষমতা, আর্থিক সুযোগের প্রায় সবটাই হাতেগোনা কয়েকটি ক্যাডার চাকরিতে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। অপরদিকে, টেকনিক্যাল ক্যাডারের চাকরিজীবীরা মাঠ ঘাটে ছাত্রনেতা নামধারীদের হাতে প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছেন, এমনকি হত্যাকাণ্ডেরও শিকার হচ্ছেন ক্ষেত্র বিশেষে। উন্নত বিশ্বে এমন পরিবেশ কল্পনাতীত। কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বার্থেই উন্নত দেশগুলো টেকনিক্যাল জনশক্তিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

আজকের এ লেখার মূল উদ্দেশ্য আর্থিকভাবে দুর্বল ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উন্নত দেশে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। এটি হতে পারে সহজ শর্তে তাদের বিদেশে পড়াশোনার ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে। পরবর্তীতে এসব ছাত্রের স্বদেশে ফিরে আসা উৎসাহিত করতে কিছু প্রণোদনাও দেওয়া যেতে পারে। অপরদিকে, যারা সরকারের ঋণ না নিয়ে নিজেদের অর্থে বিদেশে পড়াশোনা করতে যায় তাদের ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি ট্যাক্সও আরোপ করা যেতে পারে। তারা যেহেতু সচ্ছল, তাই বাড়তি ট্যাক্স তাদের গায়ে লাগার কথা নয়। এভাবে বাংলাদেশ কিছু বাড়তি আয়েরও সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যাই হোক, কীভাবে বিদেশে পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহীদের সহায়তা দেওয়া যায় তা নিয়ে সমাজের নানা ক্ষেত্রে সফল বিশেষজ্ঞ মহলের সমন্বয়ে একটি ‘ট্যালেন্ট-প্ল্যানিং’ করা সময়ের দাবি মনে করি।

একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় আলোচনা করা যাক। বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স বহুকাল ধরেই বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ দখল করে আছে। দুর্মুখেরা বলে থাকেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকেই মূলত এ রেমিট্যান্স এসে থাকে; যেসব দেশ সেদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয় যেমন, কানাডা, আমেরিকা, ইত্যাদি, সেসব দেশ থেকে খুব বেশি রেমিট্যান্স আসে না। কথাটা হয়তো মিথ্যে নয়, তারপরও কানাডা, আমেরিকার মতো দেশে বসবাস করেও অনেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। এর উদাহরণ হতে পারে আমার অনুজপ্রতিম প্রকৌশলী ড. চন্দ্রনাথ। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার এ সন্তান একসময় দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। পরবর্তীতে আমেরিকা থিতু হয়ে বর্তমানে জনকল্যাণমুখী সংগঠন ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এর নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। আমার আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ড. মোজাম্মেল হক বর্তমানে সপরিবারে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় বসবাস করেন। তিনি বাংলাদেশে তার ভিটেমাটির উপর নির্মাণ করেছেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাটোরের বড়াইগ্রামে ‘শুকজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর কথায় বলছি প্রিয় পাঠক। এদের মতো অনেক প্রবাসী বিদেশে বসে দেশের জন্য নিঃস্বার্থে কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে, আমাদেরই পরিচিত বন্ধুবান্ধব-স্বজন যারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবী দখল করে আছেন তাদের বেশিরভাগই দেশের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, বরং অবৈধ পন্থায় টাকা পাচার করে সুইসব্যাংক সয়লাব করে দিচ্ছেন। সত্য হলো, যারা দেশের কথা ভাবেন বা দেশের জন্য কিছু করতে চান, দেশ-বিদেশ যেখানেই থাকুন সদাসর্বদাই তাদের অগ্রাধিকারে থাকে মাতৃভূমি, বাংলাদেশ। কোনোপ্রকার প্রচার-প্রসার, পদ-পদবি বা পুরস্কার সম্মাননার তোয়াক্কা না করেই তারা নীরবে দেশের সেবা করে যান।

পরিশেষে বলব, ‘জেগে উঠো বাংলাদেশ, পুরানো ধ্যান ধারণা বাতিল করে বিশ্বায়নের সাথে তাল মেলাও, নিজেদের মেলে ধরো বিশ্ববাসীর কাছে, জাতিকে উপহার দাও সুন্দর পিচাই, সত্য নাদেলা বা অরবিন্দদের মতো বিশ্বমাপের মানুষ!’

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..