সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন

দুর্গাপুরে ফসলের খেত নষ্ট করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে ১৬ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে সাত্তার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জমির মালিক দাবিদার মো. রহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। সম্প্রতি জমিটি নিয়ে মহামান্য আদালতে ও উচ্চ আদালতের ভুক্তভোগীর পক্ষে রায় হয়েছে। তবুও উচ্চ আদালতে রায় উপেক্ষা করে এলাকার কতিপয় নামধারী নেতাদের তদবিরে জমিটি দখল চেষ্টা করছে বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে দখলবাজ ছাত্তারের বিরুদ্ধে ।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ছারভান বেওয়ার ওয়ারিশ সূত্রে জমিটির মালিক পরে তার কাছে থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক হন তার ছেলে রহিদুল ইসলাম। জমিটির তফসিল উপজেলার পালশা মৌজা নং-২৫, আরএস খতিয়ান-৬৫৬, দাগ নং-২৫০২, ১৬ শতাংশের মধ্যে সাড়ে ৬ শতাংশের সেই জমি ক্রয়সূত্রে দলিলমূলে মালিক হন রহিদুল ইসলাম। সেই জমি তিনি ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি পালশা গ্রামের মৃত.মশির উদ্দিন ওরফে মমিন প্রাং এর ছেলে জনৈক আবদুর সাত্তার প্রাং, ও তার ছেলে মো. আকরাম আলী , ওই জমিতে করলার খেত নষ্ট করে ও বেড়া ভেঙে দখলের চেষ্টা চালায়। এতে করে প্রায় অর্ধ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত,৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে প্রতিপক্ষের লোকজন রহিদুল ইসলামের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার পায়তারা করে ও সেই জমিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকির কারণে নিজ জমিতে ফিরতে পারছেন না রহিদুল।

এঘটনার জের ধরে আব্দুস সাত্তারের একটি আপিল সুত্রে জানাযায়, আইনজীবী মারফত আপিলে আব্দুস সাত্তার উল্লেখ করেছেন. তদবির অভাবে বিগত ১৯/০৪/২০১৮ ইং তারিখে আমার আপিলটি খারিজ করা হয়েছে। এব্যাপারে আপিলটি পুন: গ্রহনের জন্য আবেদন করেছেন।

ভোক্তভোগী রহিদুল ইসলাম জানান, তিনি বৈধভাবেই জমির মালিক। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার জমি দখল চেষ্টা করছে। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জমি দখলের বিষয়ে আবদুর সাত্তার গংয়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে আকরাম আলী বলেন, জমির সবকাগজ ঠিক আছে আমরা জমিটি এওজ(বিনিময়) সূত্রে পেয়েছি। পরে জমিটির কাগজপত্র দেখতে চাইলে এ প্রতিবেদকে দেখাতে রাজি হননি তিনি।

দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ থানায় এর আগে দেওয়া হয়েছিল শুনেছি। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে এটা আদালতের এখতিয়ার। তবে জমি দখলচেষ্টা ও হুমকির বিষয়টি অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএ..

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..