সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি রাজশাহীতেও সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির অংশ হিসনাবে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের সাথে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাটডাউনের সমর্থনে শিক্ষার্থীরা সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জড়ো হতে থাকলে এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে তাদের ধাওয়া দিলে শিক্ষার্থীরাও তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দেয় এবং দু’পক্ষের মধ্যে  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কয়েকজনকে আন্দোলনকারীদের মারধর করে। সংঘর্ষের সময় ৭/৮টি এ সময়  ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।  উক্ত সংঘর্ষে  অন্তত ১০জন আহত হয় বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে  পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক)

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।হাসপাতাল পুলিশ বক্স সূত্রে জানা গেছে, আহত ৫ জনের মধ্যে একজন নগরীর শাহমখদুম কলেজের ছাত্র। তার ঘাড়ে চাপাতির কোপ লেগেছে। শহরের সাহেববাজার এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত হন তিনি। আহতদের মধ্যে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীও রয়েছেন। এছাড়াও শহরের ভুবনমোহন পার্ক এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হয়েছেন। রাণীবাজারে আহত হয়েছেন এক যুবলীগকর্মী। এছাড়া মিয়াপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে এক পথচারী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময়  শাটডাউনের সমর্থনে কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা  জিরো পয়েন্টে জড়ো হতে থাকলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে এতে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, রাণীবাজার,অলোকার মোড় নিউমার্কেট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়

হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানা গেছে।  হামলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে,বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে লাঠি চার্জ করে। পুলিশের লাঠি চার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

সাহেব বাজার এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে  নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সংঘর্ষ হয়েছে এ রকম কেউ আমাকে জানাননি। আমরা কাউকে আটক করিনি। আহত কয়জন সেটাও বলতে পারব না।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মাঠে নামা শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুব লীগে মুহুর্মুহু ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনায় শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জ/ন

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..