বিয়ের চার দিনের মাথায় স্বামী আব্দুর রাজ্জাককে (৩১) বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী শাপলা খাতুনের (১৮) বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক সাইপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। এটি শাপলা খাতুন ও আব্দুর রাজ্জাককে দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা ফুলজান বিবি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, আগের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় রাজ্জাকের। গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামের মো. শুকুরদীর মেয়ে শাপলা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি।
বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর ঘরেই ছিলেন শাপলা। সকালে পরিবারের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে শাপলাকে আটক করে। স্বামীর মৃত্যু নিয়ে শাপলা পুলিশকে একেকবার একেক রকমের কথা বলছেন। তিনি কখনও বলছেন, তারা স্বামী-স্ত্রী একে-অপরকে বালিশচাপা দিয়ে খেলতেন। এতে রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে। আবার কখনো বলছেন, তার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন। এ কারণে রেগে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়েছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে শারীরিক অক্ষমতার কারণেই শাপলা তার স্বামীকে খুন করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত দাস জানান, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে শাপলাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জি/ন