রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লক্ষ্যে মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ সদস্যরা। রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এইসব বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকায় একাধিক গোয়েন্দা রির্পোটে পাঠানো হলেও এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত। যার ফলে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের কারণে সুনাম নষ্ট হয়েচ্ছে গর্বিত পুলিশ বাহিনীর।
ভাবমূর্তী ও সুনাম বজায় রাখতে এই ধরনের পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রমানিত হলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে নাটোর শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে ১৬২ পিস ইয়াবাসহ রাজশাহীর চারঘাট থানার এএসআই শাহনুল ইসলামকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
নাটোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই তাইজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের রথবাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একজনের গতিবিধি সন্দেহ হলে তার শরীরে তল্লাশি চালানো হয়। তখন শাহানুলের কাছ থেকে ১৬২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন শাহানুল রাজশাহীর চারঘাট থানার এএসআই। পরে তাকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এএসআই শাহনুলকে থানায় হস্তান্তরের কথা স্বীকার করেছেন সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ।
গত ১৯ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী মোল্লাকে গ্রেফতার করে। মোহাম্মদ আলী মোল্লা আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন দুর্নীতি দায়ে তার চাকুরী চলে যায়। পরবর্তীতে সে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লক্ষ্যে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
এর আগে রাজশাহীর চারগাট ইউসুফপুর বিওপির সামনে থেকে ইউসুফপুর ক্যাম্পের বিজিবি’র টহল দল এএসআইয়ের নাম পাঞ্জাব আলী গ্রেপ্তার করে চারঘাট থানায় সোপর্দ করে।
বিএ/