ইউএনও মর্তুজা আল মুঈদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে আমি উপস্থিত হই। সেখানে তারা ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য হলুদের আয়োজন করে। আমি বাল্যবিয়ে দিতে নিষেধ করি। এ ছাড়াও বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে তাদেরকে জানাই। পরে তারা বিয়ের আয়োজন করবে না মর্মে মুচলেকা দেয়। একই সঙ্গে ছেলে ও তার বাবাকে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।’
দিনাজপুর পৌর শহরে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে আটকে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মর্তুজা আল মুঈদ।
দক্ষিণ লালবাগ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার এক দোকানদারের ১৬ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে শহরের চাউলিয়াপট্টি এলাকার ২২ বছর বয়সী এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। ওই কিশোরী দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ওই যুবক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীর বিয়ের জন্য হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই কিশোরীর বাসায় উপস্থিত হন ইউএনও মর্তুজা আল মুঈদ। এ সময় বাল্যবিয়ের আয়োজনের ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে বিয়ের উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ের আয়োজন করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান মেয়ের মা ও বাবা।
পরে বিষয়টি ছেলে ও তার বাবাকে মোবাইলে জানানো হয়। একই সঙ্গে রোববার সদর উপজেলা পরিষদে এনে মুচলেকা দেয়ার জন্য বলা হয়। যদি তারা মুচলেকা না দেয় তাহলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।
ইউএনও মর্তুজা আল মুঈদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে আমি উপস্থিত হই। সেখানে তারা ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য হলুদের আয়োজন করে। আমি বাল্যবিয়ে দিতে নিষেধ করি। এ ছাড়াও বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে তাদেরকে জানাই। পরে তারা বিয়ের আয়োজন করবে না মর্মে মুচলেকা দেয়। একই সঙ্গে ছেলে ও তার বাবাকে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।’
বিএ