শব্দ দুটো খুব চেনা— গ্লোবাল ওয়ার্মিং। যত দিন যাচ্ছে, তত বেশি করে শোনা যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা। বিভিন্ন প্রতিবেদনে পড়তে হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের নানা দিক। সম্প্রতি চিন্তা বাড়িয়েছে একটি সমীক্ষা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জের তরফে যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে স্পষ্ট, বিশ্বের পরিস্থিতি ক্রমশ নাগালের বাইরে যেতে চলেছে। ভারতের মতো গরম প্রধান দেশও অদূর ভবিষ্যতে মারণ তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে এবং তার পরিণতি হবে মারাত্মক।

বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক অটো এএফপির প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করে বলেছেন, “মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সূচনা হওয়ার আগে প্রতি তিন হাজার বছরে একবার এই ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।” অনেক দেশের আবহাওয়াবিদরা এক গবেষণায় বলেছেন, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এসব নাকি ঘটছে। আর এই সবের মধ্যেই ভারত এবং পাকিস্তানে এই ধরনের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা ৩০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে।

মঙ্গলের পর বুধেও অনুব্রতকে তলব ঈইও-র, হাজিরা এড়াতে পারেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা
৭ সরহং ধমড়

আমেরিকার প্রথমিক স্কুলে ভয়াবহ হামলা বন্দুকবাজের! এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ হারাল ১৯ শিশু সহ ২১
২৮ সরহং ধমড়

তথ্য বলছে হঠাৎ করে পরিবেশে’র এমন বদলের সম্ভাবনা ৩০০০ সালের মধ্যে গড়ে এক বার হয়ে থাকে। তবে মানুষের কাজের কারণে যখন থেকে জলবায়ু পরিবর্তন শুরু হয়, তখন থেকে বিশ্বের তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। প্রচন্ড গরমের ব্যবধান এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে খবর।

ভারতে এবার মার্চ মাস থেকেই গরম পড়তে শুরু করেছে। সরকারি তথ্য বলছে গত ১২২ বছরে সবথেকে গরমের মাস ছিল সেটি। শুধু ভারতেই নয়, পাকিস্তানেও ক্রমশ গরম বাড়তে শুরু করেছে। মরশুমের হঠাত এমন পরিবর্তন খোদ আবহাওয়াবিদদের উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, যদি কোনও ভাবে এই তাপমাত্রা এক-চতুর্থাংশ ডিগ্রী আরও বেড়ে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত যদি বেড়ে যায় তাহলে এই ধরণের হিট ওয়েভ প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর আরও ভংকর হয়ে উঠবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।

বিএ