ইউক্রেনের শহর খেরসন দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল কিছু স্ক্রিনশট ও ভিডিওর আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্ক্রিনশট ও ওয়েবক্যামে ধারণ করা ভিডিওগুলোর জিওলোকেশন ও সত্যতা নিশ্চিত করেছে সিএনএন।
ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে পুরো খেরসন শহরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে রুশ সেনারা এবং ক্রিমিয়া থেকে আসা রুশ সেনারা দিনেপার নদী পার হচ্ছে।এর আগে মঙ্গলবার শহরের মেয়র ইগোর কোলিখাইভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘শহরে হামলা চলছে। আবাসিক ভবন ও নগরসেবাগুলো পুড়ছে।’
এ ছাড়াও মেয়র বলেছিলেন, ‘আমরা সেনা নই। যতক্ষণ পারি আমরা শহরের কার্যক্রম ধরে রাখবো। যদি রুশ সেনা ও তাদের নেতৃত্ব আমার কথা শুনে থাকে, আমাদের শহর ছেড়ে দিন। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গোলাবর্ষণ বন্ধ করুন। আপনারা সব কিছু নিয়েছেন। এমনকি মানুষের জীবনও।’
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রুশ সেনারা। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কিয়েভের বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও বেসামরিক ইউক্রেনীয়দের সামরিক স্থাপনাগুলো থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেন জাতীয়তাবাদের উসকানিতে যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে ও কিয়েভের প্রযুক্তি কেন্দ্রের পাশে যারা অবস্থান করছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি বাড়ি ছেড়ে দিন। সেখানে বড় ধরনের হামলা হবে।’
রুশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের তথ্য হামলা ঠেকাতে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভসহ আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে দেশটিতে ৩৫২ জন বেসামরিক মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে ১৪ জন শিশুও রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। এ ছাড়া অভিযানে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৬৮৪ জন। দেশটি ছেড়ে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ সীমান্ত দিয়ে অন্য দেশে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
বিএ