আবারো আইনি জটিলতায় জড়ালেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় না, এবারে কোনো বিয়ে বিচ্ছেদ জনিত ঘটনা নয়। বরং এক শিকল বন্দি বেজির ছানার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য বিপাকে পড়েছেন তিনি। বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের (ডরষফষরভব আওতায় নোটিস পাঠানো হয়েছে টলিউড ডিভাকে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড়সড় বিপদে পড়তে পারেন তিনি।
বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন ১৯৭২ এর আওতায় ৯, ১১, ৩৯, ৪৮ এ, ৪৯ এবং ৪৯ এ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে। সল্টলেকের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শ্রাবন্তীকে।বিষয়টা নিয়ে এখনি মুখ খুলতে রাজি নন অভিনেত্রী। সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টা আপাতত তদন্তের আওতায় রয়েছে। তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য তিনি করতে পারবেন না। তাঁর আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছেন, আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানা যাবে।বন দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, শ্রাবন্তীর মতো একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব যদি এই
ধরনের কাজ করেন, তাতে আরো পাঁচজনকে উসকানি দেওয়া হয়। শ্রাবন্তীকে তদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে বন দফতরের তরফে। উল্লেখ্য, শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছরের জন্য জেল খাটতে হতে পারে তাঁকে।গত মাসেই দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন শ্রাবন্তী। সেখানে তাঁর পরনে দেখা গিয়েছিল গোলাপী চুড়িদার, সিঁথিতে সিঁদুর। কোলে একটি বেজির বাচ্চাকে নিয়ে হাসিমুখে লেন্সবন্দি হয়েছিলেন তিনি। তবে শাবকটির গলায় শিকল পরানো ছিল।
ক্যাপশনে এই ছানাটিকেই নিজের ‘ছোট্ট বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শ্রাবন্তী। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছিলেন, ‘পশুপ্রেম’ ও ‘কিউটিপাই’। কমেন্টে তখন অনেকেই ‘ভুয়ো পশুপ্রেম’ এর অভিযোগ তুলে শ্রাবন্তীর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি পশুপ্রেমের প্রচার করছেন, অথচ শাবকটির গলায় শিকল বাঁধা। এতে ছানাটির কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু বরাবরের মতোই তখন কোনো মন্তব্যরেই উত্তর দেননি শ্রাবন্তী।
বিএ