বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মহাদেবপুরে অতিদরিদ্র্যদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগের খবর প্রকাশের পর এ কর্মসূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। রোববার (২৭ ফেব্রæয়ারি) সকালে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নে এবছরের প্রথম পর্যায়ের কাজ উদ্বোধন করেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল।
সম্প্রতি প্রকাশিত দীর্ঘ প্রতিবেদনে শ্রমিকদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি, অর্ধেক শ্রমিকের নিয়মিত কাজে না এসেও বিল উত্তোলন, ব্যাংক ম্যানেজারের সহযোগীতায় একজনের টাকা অন্যজনের উত্তোলন, প্রতিদিন মাত্র ২০০ টাকা মজুরি প্রদান, অনুপস্থিত শ্রমিকদের উপস্থিত দেখিয়ে তাদের টাকা উত্তোলন করে প্রভাবশালীদের আত্মসাত প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুলতান হোসেন জানান, সংবাদ ছাপা হবার পর সংবাদপত্রের কপি নিয়ে এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের কর্মসূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৭৯৯ জন শ্রমিক তালিকাভূক্ত ছিল।
এবার জনসংখ্যার ভিত্তিতে নতুন তালিকায় রাখা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৯ জন। উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু হাসান জানান, এবার তার ইউনিয়নে তালিকাভূক্ত হয়েছে মোট ১৩৬ জন। এরমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা দিয়েছেন ৮৮ জন ও রাজনৈতিকভাবে দেয়া হয়েছে ৪৮ জনের নাম। আগের তালিকায় মেম্বার, চৌকিদার ও তাদের আত্মীয়দের যেসব নাম ছিল সেগুলো বাদ দেয়া হয়েছে এবং নতুন তালিকায় প্রকৃত অতিদরিদ্র্য শ্রমিকদের নামই স্থান পেয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কাজে অনুপস্থিতি তদারকির জন্য এবার উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
কেউ কাজে অনুপস্থিত থাকলে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বেতন কাটা যাবে। ব্যাংক সংক্রান্ত অনিয়ম দূর করার জন্য এবার পেমেন্ট সরাসরি শ্রমিকদের মোবাইলের বিকাশ একাউন্টে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক মজুরি ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। এবছর প্রথম পর্যায়ে এই উপজেলায় ৪০ দিনের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৩ কোটি ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, এবার প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নের জন্য ট্যাগ অফিসাররা তৎপর থাকবেন।
বিএ