শনিবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ সেনারা হামলা চালায় এবং গোটা শহর বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে। আমেরিকা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিরাপদে ইউক্রেন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও, ভলোদিমির জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছেন। তিনি মার্কিন আধিকারিকদের জানিয়েছেন যে, পালাবার পথ নয় অস্ত্র চাই। জেলেনস্কি বলেছেন যে, লড়াই এখনও চলছে এবং এটি ইউক্রেনের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর হামলায় অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং, ব্রিজ এবং স্কুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করতে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের লক্ষ্য ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা। বিশ্বের মানচিত্রকে নতুন আকার দিতে এবং রাশিয়ার শীতকালীন যুদ্ধের প্রভাব বহালের জন্য এটি পুতিনের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। তবে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের কতটা এখনও রাশিয়ার দখলে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং একটি অস্পষ্ট বিবৃতিতে সতর্ক করেছেন যে বেশ কয়েকটি শহর আক্রমণের শিকার হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আজ রাতে আমাদের শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আজ নির্ধারিত হবে।” জেলেনস্কিকে মার্কিন সরকার রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে যেতে বলেছিল, কিন্তু জেলেনস্কি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা প্রসঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, বিশ্বকে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যদিকে, স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ ২৮টি দেশ ইউক্রেনকে চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়তাসহ সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তার পশ্চিমা মিত্ররা সামরিক সাহায্য পাঠাচ্ছে।
বিএ