রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি)। শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘এইচএসবিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের রফতানি আয়ের প্রধান খাত ছিল পাট, চা এবং চামড়া। এখন পোশাক আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের রফতানি আয় ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসলে রফতানি আয় বেড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার হয়। আর এখন তা বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার সব রকম চেষ্টা করা হবে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো বলেন, আমাদের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থেনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সব সময়ই নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। এ সকল ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিতে পেরে এইচএসবিসি গর্বিত।
অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাক শিল্পে বছরের সেরা রফতানিকারকের (গ্রুপ এ) পুরস্কার দেয়া হয় স্কয়ার ফ্যাশন্স লিমিটেডকে। ২০০১ সালে প্রকল্প এবং ২০০২ সালে উৎপাদন শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ২৫টি ব্রান্ডের পণ্য বিশ্বের ৭৫টি দেশে রফতানি হয় বলে জানানো হয়। কোম্পানিটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের উপরে।
এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে ‘বি’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার দেয়া হয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড। ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ ওভেন গার্মেন্টসটি বিশ্বের ৪০টি দেশে পণ্য রফতানি করছে। কোম্পানিটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে।
‘সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ অ্যাপারেল’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার দেয়া হয়েছে- এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডকে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করা এ কোম্পানিটি ২১টি দেশে পণ্য রফতানি করছে। প্রতিষ্ঠানটির রফতানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
‘সনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে’ বছরের সেরা রফতানিকারক পুরস্কার দেয়া হয়েছে- সীমার্ক (বিডি) লিমিটেডকে। ২০০২ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে সী-ফুড রফতানি করে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক রফতানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প’ গ্রুপে বছরের সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার দেয়া হয়েছে- ক্লাসিকাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বাংলাদেশকে। নীলফামারিতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজার কর্মী কাজ করে। বিশ্বের ৩৩টি দেশে হাতে তৈরি গৃহসজ্জা সামগ্রী রফতানি করে এ কোম্পানিটি বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।