বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

দেশে গুম হওয়া ব্যক্তি ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য হাস্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

দেশে গুম হওয়া ব্যক্তি ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এমন বক্তব্য হাস্যকর ও অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সলিল সমাধি হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা চেয়েছেন।

রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে সোমবার ১১টার দিকে হামলার আহত নাটোর জেলা বিএনপির নেতা আবদুল আজিজকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির নেতা।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুধু হাস্যকর না, অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ যাদের সন্তান গেছে, যাদের স্বামী গেছে, যাদের পরিজন গেছে, তারাসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিক জানে, তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তবে এই সরকার এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো জবাব দেয়নি।’

গত শনিবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিরা ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে।

জাতিসংঘে কয়েকটি সংস্থা বাংলাদেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে অভিযোগ করেছে জানিয়ে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি গুম হওয়া বিএনপির কয়েকজন নেতার কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে সম্প্রতি মারা যাওয়া বিএনপি নেত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীর কথা বলেন।

তাকে গুমের অভিযোগ থাকলেও তিনি দেশেই দীর্ঘ দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন বলে তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে পাওয়া যায় ভারতে। তাকে গুম করা হয়েছে বলে তার পরিবার ও বিএনপি যে দাবি করে আসছিল সেটিকেও সামনে আনেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব বক্তব্যকে দুঃখজনক বলেন বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমি আজ সাংবাদিকদের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, গুম হওয়ারদের মধ্যে কারা কারা ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, তাদের নামগুলো প্রকাশ করুন। তাহলে তো আপনারা জানেন ভূমধ্যসাগরে কাদেরকে সলিলসমাধি করেছেন। জনগণকে জানান।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, লাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা এখন গোটা বিশ্বে স্বীকৃত; আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও র‍্যাবের কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা তখনই আসে, যখন একটি দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হয়। সে দেশে জনগণকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে ক্ষমতা দখল করে রাখা হয়।’

ফখরুল বলেন, ‘দেশের সরকারের যে চরিত্র, মিয়ানমার সরকারের সেই একই চরিত্র। মিলিটারি পাওয়ারে তারা ক্ষমতা পরিচালনা করে, আর আওয়ামী লীগ সরকার বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। দেশের মানুষকে এভাবেই দমিয়ে রেখেছে।’

এ সময় সেখানে বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএ

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..