বিএনপি ও যুবলীগের সমাবেশ ঘিরে সংঘাত এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে নওগাঁর জেলা প্রশাসন। স্থানীয় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে নওগাঁর সমগ্র পৌরসভা এলাকায় এ ধারা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ আইন কার্যকর থাকবে। এ সময় পৌর এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সভা, সমাবেশ ও দলবদ্ধ যেকোনো কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় কোথাও কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না।
জানা গেছে, সারাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নিশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে শহরের নওযোয়ান মাঠে জেলা বিএনপির উদ্যোগে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনুর।
কিন্তু একই স্থানে একই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ কর্মসূচি দেয় জেলা যুবলীগ।
একইস্থানে দুই পক্ষ কর্মসূচির আয়োজন করায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় কোথাও কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না।
এদিকে এমন সিদ্ধান্তের পর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অন্যত্র করবে বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার হাফিজুর রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নিশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার নওযোয়ান মাঠে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু এরইমধ্যে একই মাঠে জেলা যুবলীগও একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিএনপির কর্মসূচি বানচাল করার লক্ষ্যে প্রতিহিংসামূলক এমনটা করেছে আওয়ামী লীগ।
বিএ