বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ (বার্তা প্রধান) শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা সেই নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ফেসবুকে অশালীন ও নোংরা ভাষায় মন্তব্য করায় তাদের বিরুদ্ধে নিঝুম মজুমদার এ মামলা করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর ওই নারী চিকিৎসক একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। নিঝুম মজুমদার লন্ডনপ্রবাসী আইনজীবী ও ব্লগার। বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে লেখালেখি করেন। একাত্তর টেলিভিশনের টক শোতেও নিয়মিত অংশ নেন। শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নিঝুম মজুমদার ফেসবুকে সরব ছিলেন।
মামলার এজাহারে নিঝুম মজুমদার লিখেছেন, বিবাদীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নাম, ছবি ইত্যাদি ব্যবহার করে অত্যন্ত অশালীন ও নোংরা ভাষায় তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত, আক্রমণাত্মক, হুমকিমূলক, মিথ্যা, মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। নারী চিকিৎসক সম্পর্কে তার অভিযোগ, তিনি একটি সম্পাদকবিহীন, ঠিকানাহীন, পরিচয়হীন ও বাংলাদেশে অনিবন্ধিত ‘সময় এখন ডট নেট’ নামের অনলাইন পত্রিকার সংবাদ শেয়ার করেছেন।
এই মামলায় ওই নারী চিকিৎসকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন একাত্তর টিভির সাবেক সাংবাদিক। তিন আসামি ওই নারী চিকিৎসকের পোস্টের নিচে মন্তব্য করেছিলেন।
হয়রানির উদ্দেশ্যে নিঝুম মজুমদার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান ওই নারী চিকিৎসক।
এ বিষয়ে নিঝুম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার কোনো কারণই নেই। তিনি ফেসবুকে একটি ভুয়া খবর শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে অনেকে মন্তব্য করেছেন। তার মনে হয়েছে, তিনি ফেসবুকে দলবদ্ধ আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
নিঝুম মজুমদার আরও বলেন, নারী চিকিৎসক যদি মনে করেন তিনি হয়রানির শিকার, তাহলে তিনি আদালতে যেতে পারেন।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করছে। গোলাম মারুফ মজুমদার ওরফে নিঝুম মজুমদার অভিযোগের সঙ্গে বেশ কিছু স্ক্রিনশট দিয়েছেন। এগুলো যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলছে।
জেএন