সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন

সেই এএসআই নাসির বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের রাজপাড়া মাদক ধরে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় সেই এএসআই নাসির বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি! ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন এ,এস,আই নাসিরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে রবিবার বেলা দুইটার সময় কাশিয়াডাংগা থানা এলাকার বাগানপাড়ার উত্তম মেষপালক ক্যাথলিক গির্জার পার্শে রিক্সা যোগে যাওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রিক্সা চালক (পূর্বে মাদক ব্যাবসায়ী) ও এক ডাক্তারকে চার বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে গলির মধ্যে নিয়ে যায় এএসআই নাসিরসহ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন। এর পরে ঘন্টা দুই এক দরকষাকষি করে ডাক্তারকে একলক্ষ পনেরো হাজার টাকা ও পূর্বের মাদক ব্যাবসায়ী গুড়িপারার ঢালান নিচপারা এলাকার হাসান এর ছেলে রিক্সা চালক মুজাম এর স্ত্রী আরজিনার নিয়ে আসা নগদ ষাট হাজার টাকা নিয়ে রিক্সা চালক মুজামকে ছেড়ে দেয় ।

এ,এস,আই নাসিরুল ইসলামকে টাকা দেয়ার সময় মুজাম এর স্ত্রীর কান্নাশুনে পাশের কাঠের দরজা,জানালা ডিজাইন করা দোকানের মালিক ও কর্মচারিরা বেরিয়ে আসলে তাদের সামনেই রিক্সা চালক মুজামকে ছেড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন এএসআই নাসিরসহ তার সহযোগীরা। এ,এস,আই নাসির  দীর্ঘদিন ধরে মাদক উদ্ধারের নামে গ্রেফতার বাণিজ্য করে থাকেন। নাসিরের এ সমস্ত কর্মকান্ডের ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নেননি সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা।

এ,এস,আই নাসির মহানগর গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত থাকাকালীন শুধু তার থানা এলাকা নয় অন্য থানা এলাকায় ডিবি পরিচয়ে গ্রেপ্তার বানিজ্যে অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুধু এ ঘটনা নয় গত একমাস আগে রাত্রি নয়টার সময় নগরীর পদ্মা গার্ডেন নদীরধার এলাকায় বড়কুঠির নবাবজান এর ছেলে বাবুকে তার মটরসাইকেলের গতিরোধ করেন এএসআই নাসির সহ আরো তিনজন। মদপান করে মটরসাইকেল চালানোর অপরাধ দেখিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় তারা। এ সময় এ,এস,আই নাসির তার পকেটে থাকা অনেক গুলো ইয়াবা বের করে বলে এই ইয়াবা গুলো দিয়ে তোকে মামলা দেয়া হবে। এ সময় ভুক্তভোগীর ফোনে তার স্ত্রী রুমা লাইলা চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসলে অনেক অনেক দরকষাকষির এক পর্যায়ে আটচল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, কনষ্টেবল হয়ে যোগদান করে দির্ঘ ১৭ বছর থেকে আরএমপিতে রয়েছেন এ,এস,আই নাসির। বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা শাখায় পোষাক ছাড়া সিভিল টিম এর নামে গ্রেপ্তার বানিজ্যে করে আসছে।

 অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে এ, এস,আই নাসির খবর ২৪ঘন্টাকে বলেন, ঘটনার যদি আপনার কাছে প্রমাণ থাকে তাহলে সঠিক। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত  হয়েছে বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।

 এ বিষয়ে রাজপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম খবর ২৪ ঘন্টাকে বলেন. আমি শুনেছি সে উল্টাপাল্টা কাজ করে। ঘটনা যদি সত্য হয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ কমিশনার বোয়ালিয়া জোন সাজিদ হোসেন এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হল তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএ

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..