গতকালই আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত ৩৮ জন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বিশেষ আদালত। আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাকি ১১ জনকে। এবার এই সন্ত্রাসবাদীদের বাঁচাতে মাঠে নামতে দেখা গেল ইসলামী সংগঠন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ কে।
জমিয়ত উলেমা ই হিন্দ এর সভাপতি মওলানা আরশাদ মাদানি সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাবেন বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষ আদালতের সিদ্ধান্ত অবিশ্বাস্য। আমরা শাস্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে হাইকোর্ট এই ব্যক্তিদের সম্পুর্ণ ন্যায় বিচার দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেয়। গুজরাটের গান্ধিনগরের অক্ষরধাম মন্দিরে সন্ত্রাসী হামলায় নিম্ন আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনকে কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত ৬ জনকে বেকসুর খালাস করে।’ তাই প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট অবধিও যাবেন বলে জানিয়েছেন জমিয়ত উলেমা ই হিন্দ প্রধান আরশাদ মাদানি।
অন্যদিকে এই মামলায় অভিযুক্ত নাগোরির সঙ্গে আরও ৫ জন জঙ্গিকে ভোপালের জেলে বন্দি করা হয়েছে। এই ৬ জনের নাম শিবলি, শাদুলি, আমিল পারভেজ, কামরুদ্দিন নাগরি, হাফিজ ও আনসাব। এদের মধ্যে একমাত্র আনসাব ছাড়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাকি ৫ জনকেই। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড শোনার পরও কোনোরকম প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়নি নাগরির মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর জেল সুপার দীনেশ নারগাভেকে সে জানিয়েছে যে সংবিধান নয়, একমাত্র কোরআন মেনেই চলে তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই এক ঘন্টা ১০ মিনিটের মধ্যে লাগাতার ২১ টি বিস্ফোরণ ঘটে আহমেদাবাদ শহরে। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মারতেই এই প্ল্যান ছকেছিল জঙ্গীরা। বিস্ফোরণে আহত হন ২০০ এর বেশি মানুষ। মৃত্যু হয় ৫৬ জনের। এই মামলারই ১৩ বছর পর গতকাল রায় ঘোষণা করেছে বিশেষ আদালত।
বিএ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল :[email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০
Copyright © 2024 Onusandhan. All rights reserved.