আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। ইতমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন গ্রহণ শেষে ৪ জন মেয়র পদপ্রার্থী এবং ১৬০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন।
৪ জন বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন-রাজশাহী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র জবাব এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার এবং ইসলামী আন্দোলনের মো: মুরশিদ আলম।
২০১৮ সালের রাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা এইবার কম। আগামী ২ জুন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ভোটের বাকি আর মাত্র ২০ দিনের মতো। বাংলাদেশের ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে সব সময় ভোট নিয়ে অনেক আমেজ, উৎসাহ থাকে।
তবে, এখনো রাজশাহী মহানগরীর ভোটারদের মধ্যে নেই ভোটের আমেজ ও উৎসব। ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে নেই কোনো শোরগোল। ভোটের সময় আসলেই পাড়া-মহল্লা, বাজার-হাটের চায়ের দোকান গুলোর নির্বাচনী আসর বাংলাদেশে চিরচেনা।
ভোটের সময়ে চায়ের চুমুকে চুমুকে ভোটাররা নির্বাচন, বিভিন্ন প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন আলাপ আলোচনায় মেতে ওঠেন। নির্বাচন কে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকে। কিন্তু, প্রতিবারের তুলনায় এইবার স্থানীয়দের মধ্যে আগ্রহ কম।
স্থানীয়দের মতে, এইবার ভোটের মাঠে বিএনপির অনুপস্থিতি এবং একতরফা প্রার্থী থাকার কারণে প্রার্থীদের মধ্যে জমবে না নির্বাচনী লড়াই। বিশেষ করে মেয়র পদে কোনো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে না বলে অনেকের ধারণা। বিরোধী দলের অনুপস্থিতি ও কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকার কারণে এইবার জনমনে ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। অনেকে তো জানেনই না ভোট কবে।
সব মিলিয়ে রাজশাহীতে ভোটের পরিবেশ এখনো বেশ ঠাণ্ডা। তাই, অনেকেই আশংকা করছেন এইবারের রাসিক নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির কম হতে পারে।
তবে, রাজশাহী আওয়ামী লীগের মুখপাত্ররা মনে করেন-ভোটের প্রচার প্রচারণা শুরু হলে কাউন্সিল প্রার্থীরা নিজ এলাকার ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।
কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনে করেন, প্রচারণা শুরু হলে ভোটের পরিবেশ চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ফিরে আসবে পুরনো আমেজ।এইবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর সাহায্যে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইভিএম পদ্ধতি নিয়েও জনমনে উদ্বেগ রয়েছে।
এইবার রাজশাহী মহানগরীতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। ১হাজার ১৭৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানা গেছে। রাজশাহীতে ভোটের পরিবেশ শীঘ্রই মুখরিত হবে বলে প্রার্থীদের প্রত্যাশা।
জ/ন