শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে রাতের আধারে পুকুর খনন, সাংবাদিকের উপর হামলা, পুলিশ নিরব!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২

রাজশাহীর দামকুড়া থানা এলাকার আলোকছত্র গ্রামে অবৈধভাবে তিন ফসলি জমি ধ্বংস করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে গত দুইদিন ধরে আলোকছত্র ঈদগার সামনে রাতের আধারে এই পুকুর খননের কাজ চলানো হচ্ছে।

খবর পেয়ে বুধবার রাতে ভিডিও চিত্র ধারণ ও সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে সাংবাদিকের উপর হামলা চালানো হয়। পুকুর খননকারি স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলা করে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করাসহ তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে কেড়ে নেয়া হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল।

এ সময় দামকুড়া থানার ওসি মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কোন সহযোগিতা পাওয়া পায়নি ওই সাংবাদিক। পরে খবর পেয়ে পবা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আশরাফুল হক তোতাসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি গিয়ে পুকুর খননকারিদের রোশানল থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।

জানা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধারে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে যান পদ্মাটাইমস পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক মুরাদুল ইসলামসহ তিনজন। সেখানে গিয়ে রাতে অবৈধ পুকুর খননের লাইভ সংবাদ প্রচার করে। সংবাদ প্রচার ও সংগ্রহ করে ফেরার পথে পুকুর খননকারি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা বিন্দারামপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন এবং তার সহযোগি স্থানীয় ছাত্রদল নেতা শীতলাই গোবিন্দপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে হাবিবর রহমানের নেতৃত্বে আলোকছত্র গ্রামের সোহেল, বিন্দারামপুর গ্রামের রাকিব ও গোবিন্দপুর গ্রামের সুজনসহ ১০/১৫ জন সাংবাদিক মুরাদুল ইসলামসহ তিনজনকে ঘিরে ধরে।

এর পর মুরাদুলের উপর হামলা করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়াও তার মোটর সাইকেল কেড়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এসময় যুবদল নেতা হাবিব জানায় পবা উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও দামকুড়া থানার ওসিকে টাকা দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। তাতে তোদের কি। এ ধরণের কথা বলে সাংবাদিকদের অকথ্যভাষায় গালাগালি করা হয়। যার অডিও রেকর্ড এই সংবাদিকের কাছে রয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আশরাফুল হক তোতা গিয়ে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে।

সাংবাদিক মুরাদুল বলেন, ঘটনার সময় একাধিকবার ফোন করে দামকুড়া থানার ওসির সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। উল্টে তাকে না জানিয়ে কেন সেখানে গিয়েছি তার কৈফিয়ত চান। পরে বিষয়টি কাশিয়াডাঙ্গা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়। এ সময় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

বিএ

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..