দশ বছর আগে লিওনেল মেসির গড়া এক বছরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন আয়াক্স আমস্টারডাম মিডফিল্ডার দুসান তাদিচ, এমনটাই বলে আসছিল তার ক্লাব। কিন্তু এবার সে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। বেশ কিছু ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, মেসির গড়া বিশ্বরেকর্ড ভাঙেননি তাদিচ, রেকর্ড থেকে এক অ্যাসিস্ট দূরেই থেমেছেন তিনি!
আয়াক্স আমস্টারডাম তাদের টুইটারে ফলাও করে প্রচার করেছিল বিষয়টা, বলছিল এক বছরে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ডটা এখন তাদের মিডফিল্ডার তাদিচের। ২০১১ সালে মেসি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছিলেন ৩৬টি গোল। আয়াক্স বলছিল, চলতি বছর ৩৭টি অ্যাসিস্ট করে সে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তাদিচ।
তবে এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ক্রীড়া ওয়েবসাইট ইএসপিএন, ও ইংলিশ ক্রীড়া পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা অপ্টা জানাচ্ছে সে বছর মেসি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ৩৬ অ্যাসিস্ট। আর চলতি বছর তাদিচ সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৩৫ গোল। তাতেই বিতর্কের সূত্রপাত।
প্রশ্ন উঠেছে, আয়াক্সের পরিসংখ্যানে তাদিচের দুটো বাড়তি অ্যাসিস্ট এলো কোত্থেকে? জানা গেছে, চলতি মৌসুম শুরুর আগে আন্ডারলেখট ও লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুটো প্রীতি ম্যাচে সেই দুই অ্যাসিস্ট করেছিলেন তাদিচ। আয়াক্সের হিসেবে চলে এসেছে সেগুলোও।
মেসির ১০ বছর আগের সেই ৩৬ অ্যাসিস্ট এসেছিল ক্লাব প্রীতি ম্যাচ বাদ দিয়েই। আর ক্লাব প্রীতি ম্যাচ হিসেবে আনলে ২০১১ সালে মেসি সবমোট গোল করিয়েছেন ৪০টি।
মেসির রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও নিজের কীর্তি নিয়ে গর্বই হওয়া উচিত তাদিচের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে বিশ্বকাপ প্লে অফে ঠেলে দিয়ে সার্বিয়াকে সরাসরি বিশ্বকাপে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন, পর্তুগিজদের বিপক্ষে আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের জয়সূচক গোলটাও এসেছিল তার অ্যাসিস্ট থেকেই।
লিগেও তার ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স দলকে জিতিয়েছে ঘরোয়া দুই শিরোপা! যদিও চলতি মৌসুমে সেটা আছে বড় চ্যালেঞ্জের মুখেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পিএসভি এইন্দহোভেনের চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে দলটি আছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
বিএ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল :[email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০
Copyright © 2024 Onusandhan. All rights reserved.