ভারতে ওমিক্রন থেকে বাঁচাতে পারে মাস্ক। কিন্তু ঠিক করে পরতে হবে এটি। কীভাবে মাস্ক পরবেন? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
ওমিক্রন সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। এর থেকে বাঁচার উপায় কী? কেউই সঠিক ভাবে এর উত্তর দিতে পারছেন না। তবে বিজ্ঞানী থেকে চিকিৎসক— সকলেই আগের মতোই জোর দিচ্ছেন মাস্ক পরায়। প্রাধনমন্ত্রীও হালে মাস্ক পরার বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে বলেছেন। ওমিক্রন সংক্রমণ আটকানোর জন্য মাস্ক যে অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে সকলের কথা থেকেই।
কিন্তু করোনার অন্য রূপ এবং ওমিক্রনের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে— সেটাও পরিষ্কার। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, আগের মাস্কই এখন কাজ করবে? নাকি বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্য কোনও ধরনের মাস্ক দরকার? নাকি পুরনো মাস্ককেই আরও একটু জোরদার করে নেওয়া সম্ভব? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
চিকিৎসকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি এন৯৫ এবং এফএফপি২ মাস্ক সবচেয়ে ভালো। সার্জিক্যাল মাস্কও খারাপ নয়। তবে সেক্ষেত্রে দুটো মাস্ক একসঙ্গে পরতে পারলে ভালো হয়। কাপড়ের মাস্কও অনেকে ব্যবহার করেন। সেই পুরনো মাস্ক ফেলে দিয়ে রাতারাতি এন৯৫ বা এফএফপি২ মাস্ক কিনতে হবে না। সেক্ষেত্রে বরং দুটো কাপড়ের মাস্ক একসঙ্গে পরুন। বার একটা কাপড়ের মাস্কের সঙ্গে একটা সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন।
তবে মাস্কের গুণমানের চেয়ে চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, মাস্ক কীভাবে পরতে হবে, তার ওপর। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখার কথা বলছেন তাঁরা:
খোলা এবং পরার সময়ে মাস্কের দড়ি দুটো ধরুন। মাঝে হাত দেবেন না। ওমিক্রন অত্যন্ত দ্রুত ছড়ায়। অল্পেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
প্রতি বার ব্যবহারের পরেই মাস্ক ধুয়ে নিন।
প্রতি বার ব্যবহারের পরেই সার্জিক্যাল মাস্ক ফেলে দিন।
এন ৯৫এবং এফএফপি২ মাস্ক ব্যবহার হয়ে গেলে ফেলে দেওয়ার আগে সেগুলো ছিঁড়ে বা কেটে ফেলুন। না হলে সেগুলো আবার কেউ ব্যবহার করতে পারেন।
মাস্কে স্যানিটাইজার লাগাবেন না।
অন্যের মাস্ক ব্যবহার করবেন না।
যত দিন না ওমিক্রনকে আটকানো যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই নিয়মগুলোই মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিএ