সাময়িক স্বস্তি পেলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় । বেজি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর গাড়ি চালক ভরত হাতিকে। অভিনেত্রীর মাধ্যমেই তাঁর গাড়ি চালকের কথা বন দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন বলে খবর। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
শিকল পরানো একটি বেজির ছানার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে। এর ভিত্তিতেই গত সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দুদিন ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের অফিসে টানা জেরা করা হয় শ্রাবন্তীকে।বন দফতর সূত্রে খবর, ব্যাপারটা যে বেআইনি সেটা বুঝতে পারেননি শ্রাবন্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবিটি নিয়ে এত বিতর্ক, জানা যাচ্ছে শুটিংয়ের জন্যই সেই বেজির ছানাটি আনা হয়েছিল। ছানাটিকে দেখে ভাল লাগে শ্রাবন্তীর। তাই ছবি তুলে শেয়ার করেছিলেন নেটমাধ্যমে। কিন্তু এই বেআইনি ঘটনা ঘটল কীভাবে?
শুটিংয়ের জন্য গলায় শিকল পরানো এক বেজির ছানাকে আনা হল কোথা থেকে? এসব প্রশ্নই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই নিজের গাড়ির চালক ভরত হাতির কথা বলেছিলেন শ্রাবন্তী। এরপরেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ও বুধবার দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভরত স্বীকার করেন যে বেজিটি তাঁরই।
নেপালগঞ্জে নিজের বাড়িতেই বেজিটিকে তিনি পোষ্য হিসাবে রেখেছেন, তাও বহুদিন ধরে। সেদিন শুটিংয়ের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন সেটে। শ্রাবন্তী তখনি ছবি তোলেন বেজিটির সঙ্গে। তদন্তকারী অফিসাররা ভরতের নেপালগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে বেজিটিকে উদ্ধার করেছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভরত শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক নন। সেদিন শুটিংয়ের সময় অভিনেত্রীকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্রাবন্তী জানান, বেজির সঙ্গে যে ছবিটি তিনি তুলেছিলেন সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে। যার বেজি তিনি এসেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, শুটিংয়ের জন্য আনা হয়েছিল বেজিটি। তিনি ধরে আদর করছিলেন শুধু।
বিএ