সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে গেল সেতু, রেল যোগাযোগ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রেলপথের অতিথপুর এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে একটি সেতু ভেঙে গেছে। ফলে এ পথে রেল-যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। সেতু ভেঙে পড়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন এবং বারহাট্টায় মোহনগঞ্জগামী একটি লোকাল ট্রেন।

বারহাট্টা রেলস্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে নেত্রকোনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. রফিউল্লা বলেছেন, সেতুর মেরামত করা হচ্ছে। তারপরই আটকে থাকা রেলসহ যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।

একটানা অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সোমেশ্বরী, উব্দাখালী, ধনু ও কংস নদের পানি উপচে নেত্রকোনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বেশি। পানি বৃদ্ধির কারণে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ভেসে গেছে তিন সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই নিরুপায় হয়ে ছুটছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত বলেন, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংস, সোমেশ্বরী, ধনু, উপদাখালীসহ ছোট-বড় সব নদ–নদীর পানি বেড়েছে। শনিবার সকালে উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৪ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, কলমাকান্দার সব এলাকায়ই এখন বন্যার পানি। আক্রান্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্য উপজেলার ৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আরও মানুষ আসছে। জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের টাকায় চাল, ডাল, তেল ও শুকনো খাবার কিনে বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ শুক্রবার বিকালে দিকে বলেন, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি। আক্রান্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন। ইউএনওদের কাছে চাল, ডাল ও নগদ টাকা পাঠিয়েছি। এর মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

বিএ

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..