সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

পুলিশ রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রথম হয়েও চাকরি হলো না মীমের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়েও জেলায় জমি না থাকায় এবার পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন না খুলনার মীম আক্তার। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খুলনায় স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় চাকরিটি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

মীম আক্তার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের ডা. বাবর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া। মিমের বাবা মো. রবিউল ইসলাম খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ভাড়ায় ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন। দোকানটির নাম বেডিং হাউস।

মীম আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় আবেদনের পর ২৫ অক্টোবর খুলনা শিরোমনি পুলিশ লাইন্সে শারীরিক যোগ্যতা যাচাই হয়। ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর তিন দিন ধরে চলা শারীরিক যোগ্যতা যাচাইয়ে আমি উত্তীর্ণ হই। এরপর ২৮ তারিখে লিখিত পরীক্ষা হয় খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এতে উত্তীর্ণ হই। এরপর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হই। ফলাফলে জানতে পারি আমি মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এরপর খুলনা জেলা পুলিশ লাইন্সে সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষা হয়। সেখানেও উত্তীর্ণ হয়েছি। তারপর ১২ নভেম্বর রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে। সেখানে ১৩ নভেম্বর সকালে মেডিকেল পরীক্ষা হয়। তারপর বাড়িতে ফিরে আসি। সেখা থেকে বলা হয়েছিল, পরবর্তীতে ফলাফল জানানো হবে। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হয়। সোনাডাঙ্গা থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও সিটিএসবি থেকে বাড়িতে তদন্তে আসে। তাদের কাছে ভূমিহীন সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি।

তারা বলেছিলেন, ৫ ডিসেম্বর আমাকে জানাবেন। ফোন দিয়ে ৭ তারিখে জেলা পুলিশ লাইন্সে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য ডাকা হয়। সেখানে পাঁচ আঙুলের ছাপ দিয়ে এসেছিলাম। সেখান থেকে বলেছিল, পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আর কিছুই জানায়নি।

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..