চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এ সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দেয়। এর আগে প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের নেয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন জায়েদ খান। তার পক্ষে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি রিট আবেদনটি করেন।
জায়েদ খানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা যুথি। তাদের সঙ্গে ছিলেন মুজিবুল হক ভূঁইয়া। আইনজীবী মুজিবুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রার্থিতা বাতিল করে বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে চিঠি দিয়েছে, সেটিও স্থগিত করেছেন আদালত।
‘পাশাপাশি আদালত আপিল বোর্ডের দুইজন সদস্য আর নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন জায়েদ খানকে দায়িত্ব পালনে যাতে কোনো রকম ডিস্টার্ব না করা হয়।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণকে।
এফডিসিতে ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘নিপুণের করা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলো।’ এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘এটা (প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা) আইনবহির্ভূত। পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। নির্বাচন ইস্যুতে হাইকোর্টে ন্যায়বিচার পেয়েছি।
‘ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মৃত আপিল বোর্ড কীভাবে রায় ঘোষণা করে! আমি আইনি নোটিশ দেয়ার পরও তারা যা করেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’ গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়।
বিএ