সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

তাহের হত্যা: দুই খুনির ফাঁসি কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড.এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে জানাযায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের অভিন্ন ফাঁসির মঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৭ শে জুলাই) রাত ১০ টা ১ মিনিটে দুই আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ।

এজন্য আগে থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৩ থেকে ৪ জন জল্লাদকে। তাদের সবাই যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন। দুপুরে ফাঁসির মহড়াও সম্পন্ন করা হয়েছিল। সাধারণত একজন প্রধান জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করে থাকে। তবে প্রধান জল্লাদ কোনো কারণে অসুস্থ বোধ করলে বা যে কোনো সমস্যা এড়ানোর জন্য কয়েকজন সহকারী জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

তিনি আরো জানান ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত কে জানানো হয়েছে।

ফাসির আদেশ কার্যকর করার সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জেন্ট, জেল সুপার, জেলার, কারাগারের ডাক্তার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।পরে আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র ও পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। অপর দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই দুজন হলেন জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও সালামের আত্মীয় নাজমুল।

রিভিউ খারিজের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আসামিরা। সেই প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়ে যায়। নাকচের সেই চিঠি গত ৬ জুলাই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। জেল কোড অনুযায়ী চিঠি হাতে পাওয়ার ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকরের নিয়ম রয়েছে।

বিএ/

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..