ভারতে ওমিক্রনের আতঙ্কে কি রাজ্যে আবারও স্কুল ও কলেজ বন্ধ হতে চলেছে? তা নিয়ে পর্যালোচনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খুলে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রিভিউ কর।’
“করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। স্কুল খোলা থাকবে কিনা, রিভিউ করুন। স্কুলে বেশি আক্রান্ত হলে, প্রয়োজনে কিছুদিন স্কুল বন্ধ থাকবে।” সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে বাড়তে পারে বিধিনিষেধ। কলকাতায় ফের কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করাও হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে দরকারে লোকাল ট্রেন কমানোর কথা বললেন তিনি। একইসঙ্গে দরকারে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম করানোর জন্যও এদিন প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এদিন সাগরে প্রশাসনকি বৈঠকে শিক্ষা সচিবকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে থার্ড ওয়েভ এসে গিয়েছে। ওমিক্রন বাড়ছে। এই অবস্থায় স্কুল, কলেজ খোলা রাখা যাবে কি না দেখে নাও। যদি দেখ, বেশি কেস বাড়ছে, থার্ড ওয়েভ হচ্ছে, আমরা কিন্তু তাহলে আবার কিছুদিনের জন্য স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেব।” পাশাপাশি, করোনা সংক্রমণে কলকাতায় বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। বলেন, “বাইরে থেকে ফ্লাইটে এসে কোভিড বাড়ছে। ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট নিয়ে ডিসিশন নাও। দেখে নাও, দরকার হলে
কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন। ওয়ার্ড ভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জোন করতে হবে। ৫০ পার্সেন্ট ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে। দেখে নাও, আবার রিভিউ কর। লোকাল ট্রেনও প্রয়োজন হলে কমাতে হবে। তবে ট্রেন এখনই কমাবেন না। গঙ্গাসাগর আছে। অনেক মানুষ আসেন। তবে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। ২ তারিখের পর দরকারে কিছু বিধিনিষেধ জারি করতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই মন্তব্য থেকেই ইঙ্গিত যে, জানুয়ারির ৩ তারিখ থেকে রাজ্যে বিধিনিষেধ বাড়তে পারে। একইসঙ্গে টিকাকরণ নিয়েও এদিন তিনি তোপ ফের দাগলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশে। যেখানে সবার ডবল ডোজ টিকাকরণ-ই হয়নি, সেখানে কেন্দ্র আবার বুস্টার ডোজের কথা বলছে! কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “সেকেন্ড ডোজ আগে শেষ করুন, তারপর তো বুস্টার ডোজ দেবেন!” তবে ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি অযথা আতঙ্কিত হতেও না করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা ছড়াচ্ছে বেশি, মানে স্প্রেড বেশি হচ্ছে, কিন্তু ফ্যাটাল ফাইনলি নয়।”
বিএ