বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

আরএমপিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ কমিশনার-আনিসুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

রাজশাহী মহানগরীর পুলিশি ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন করে কাজ করছে মহানগর পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আরএমপির পুলিশ বিভাগের সব শাখায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনছেন আরএমপি কমিশনার এম আনিসুর রহমান। এই পরিবর্তনের ফলে নগর পুলিশের ব্যবস্থায় একদিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে তিনি আরএমপির বিভাগের প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যােগ নেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বরের শেষে আরএমপির দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগি হন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে তিনি আরএমপির বিভিন্ন বিভাগের প্রশাসনকে বিকেন্দ্রী-করণে সক্রিয় উদ্যোগ নেন। এতে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বিভাগের কিছু সদস্যের অবৈধ সুবিধায় ভাটা পড়ে।
এখন তারা আরএমপির নামে নানারকম গুজব ছড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে টিআই প্রশাসন পদ থেকে আতাউল আল কোরাইশীকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।
আরএমপির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রমতে, শৃঙ্খলা ফেরাতে ইতোমধ্যে পুলিশ কমিশনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়টিকে আরও স্বচ্ছ করতে প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ কমিশনার।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বদলিসহ নানা অভিযোগের কারনে তালাইমারির পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই এ টি এম আশেকুল ইসলাম ও বোয়লিয়া মডেল থানার এসআই তোফিককে অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্লোজ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩ বছর ধরে দায়িত্ব ধরে রাখা রেশন স্টোরের এএসআই শওকতকে মতিহার থানায় বদলি করা হয়েছে, কনস্টেবল (মুন্সি) মোস্তাক, কনস্টেবল মুন্সি আশরাককে বোয়ালিয়া মডেল থানার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছিল।

আরও জানা গেছে, ট্রাফিক বিভাগের সংস্কারে নেওয়া পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ইতোপূর্বে একচেটিয়া সুবিধাভোগী কিছু সদস্যরা। আরএমপির ট্রাফিক বিভাগে থাকা সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রী-করণের ফলে তারা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সার্জেন্ট নুরে আলম সিদ্দিক, সার্জেন্ট সাবিহা, সাধন, ইমরান, সার্জেন্ট সাদ্দাম মনিরসহ অনেকেই বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে আরএমপি সদর দপ্তরের দুর্নীতির দায়ের সেই অভিযুক্ত সিভিল স্টাফ কর্মকর্তারা বিশেষ কোন সুবিধা না পাওয়ায় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বেনামী দরখাস্ত দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছেন তাদের বিরুদ্ধেও।

এসব নিয়ে পুলিশের ভেতরে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে আরএমপির বিভাগে অস্থিরতা সৃষ্টিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বিষয়টি আরএমপির কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অবগত আছেন। খুব শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিএ/

শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..