ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপন তিন ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে আরেক ভাই করেছেন বিষোদগার। এই ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া গ্রামে। তিন ভাইয়ের এমন কাণ্ডে সাধারণ ভোটাররা ছিলেন চিন্তিত।
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছেন ছোট ভাই শহিদুল হক মানিক। ভোটযুদ্ধে বড় দুই ভাইকে পরাজিত করে আবারও নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল থাকলেন তিনি।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ হাজার ৬৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন শহিদুল হক মানিক। রাতে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, শহিদুল হক মানিকের (আনারস) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশরাফুল সরকার (চশমা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৯ ভোট। এ ছাড়া শহিদুল হক মানিকের বড় ভাই সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন মাত্র ৭৯ ভোট, আর মেজ ভাই মোতালেব হোসেন (ঘোড়া) ১ হাজার ২০৮ ভোট পেয়েছেন। এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আব্দুল মান্নান সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল হালিম (হাতপাখা) পেয়েছেন ১৪৭ ভোট।
পুনরায় নির্বাচিত শহিদুল হক মানিক ২০০৩ সাল থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে কালুপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বড় ভাই একরামুল হক ১৯৯১-৯৫ সালে চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে দুই ভাইয়ের সঙ্গে মেজ ভাই মোতালেব হোসেন এবারই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
কালুপাড়া ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। এখানে মোট ১৪ হাজার ৯৮৪ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ৭৩৭ ভোট দিয়েছেন। বদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে স্বতন্ত্র এবং ৩টিতে নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএ